" প্রায় দশ মাস হয়ে গেল, এখনও সাইকেল পায়নি শিক্ষার্থীরা"
এম সালাহউদ্দিন,সামশেরগঞ্জ:
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলার স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে যখন নীল সাইকেল তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই মুহূর্তে নীল সাইকেলের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিল সামশেরগঞ্জের বেশ কয়েকটি স্কুল, যেমন- কাঞ্চনতলা, কৃষ্ণকুমার সন্তোসকুমার সহ দিঘড়ি স্কুল।তিনটি স্কুল মিলে কয়েকমাস আগে NH34 অবরোধ করে, অবরোধ চলে প্রায় ঘন্টা দুয়েক, তাদের প্রশ্ন হলো "পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব স্কুলেই সাইকেল দেওয়া হচ্ছে আমাদের কেন দেওয়া হচ্ছে না? আমরা কি পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে পড়িনা? আমরা সাইকেল না পেলে পথ অবরোধ তুলব না।" NH34 অবরোধের ফলে ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয় NH 34-এ, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎকালীন ওসি ফণী মহাশয় আসেন কিন্তু কাজ হয়নি, অবশেষে SDO, MLA আসেন এবং SDO মহাশয় বলেন যে, এক সপ্তাহের মধ্যে সাইকেল দিয়ে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সাইকেল এসেছে কিন্তু সেগুলো দশম শ্রেণীর জন্য, আন্দোলনকারীদের জন্য নয় অথচ আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল, এখন তারা কলেজে পদার্পণ করেছে কিন্তু আজও সাইকেল বাড়িতে পদার্পণ করেনি। তাদের দাবি আমরা আন্দোলন করলাম SDO মহাশয় আমাদের লিখিত দিয়ে আশ্বস্থ করলেন যে এক সপ্তাহের মধ্যে সাইকেল পেয়ে যাবে, কই আমাদের সাইকেল। আমাদের সবুজ সাথী র সাইকেলের স্লিপ টুকু কি এখন চানাচুরের কাগজের মতো। আন্দোলনকারীদের অভিমত যে করেই হোক সাইকেল আদায় করবোই। এ নিয়ে আজ কিছু শিক্ষার্থী স্কুলে গিয়েছিল স্কুলের মতামত নিতে কিন্তু স্কুল বন্ধ ছিল।
SDO মহাশয় যখন বলে ছিল এক সপ্তাহের মধ্যে সাইকেল মিলবে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ, এক সপ্তাহ তো দুরের কথা কয়েক মাস পেরোলো কিন্তু সাইকেল মিলেনি। আজ দুপুর সাড়ে বারোটার সময় সদ্য কলেজে পদার্পণ করা কাঞ্চনতলা স্কুলের কয়েক জন শিক্ষার্থী পৌর পিতার কাছে যায় সাইকেলের বিষয়ে আবেদন জানাতে। পৌর পিতা বলেন "আমরা স্কুলকে বলেছি যারা যারা সাইকেল পায়নি তাদের নাম DM এর কাছে পাঠাতে, পুজোর পরে আবার আমরা দেখছি কি করা যায় যারা সাইকেল পায়নি তাদের জন্য।"